বহুআগে মানুষ আয়ত্ত করেছিল মৃৎশিল্পের ধারণাকে। মৃৎশিল্পের মূল উপাদান মাটিআর পানি। এই দুই সহজ উৎসের নিরন্তর প্রবাহই মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলপ্রথম মৃৎপাত্র তৈরির।
মানুষেরতৈরি আদি মৃৎপাত্র ছিল অনেকটা বর্তমানকালে কুমারের তৈরি মৃৎপাত্র আগুনেপোড়াবার আগে যে অবস্থায় থাকে অনেকটা সে পর্যায়ের। পরবর্তীতে আগুনেরব্যবহার আয়ত্ত করার পর ক্রমান্বয়ে মানুষ ওই মৃৎপাত্রকে আগুন পুড়িয়েসেগুলোকে ব্যবহারের অধিকতর উপযোগী করে তৈরি করতে শিখল এবং সেটাই নানাস্তরে অতিক্রম করে আজকের এ উৎকর্ষতার পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। মৃৎশিল্পেরক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহ্য যেমনি সুপ্রাচীন তেমনি নকশা-নমুনা ওবৈচিত্র্যেও তা অনন্য। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্পকে আশ্রয় করে শতশত বছর আগে থেকেই এখানে গড়ে উঠেছে একটি পেশাজীবী শ্রেণী, যাদের বলা হয়কুমার বা পাল। এ কুমারদের বাস বাংলাদেশের সর্বত্র হলে কতিপয় বিশেষ এলাকায়এদের গোত্রভিত্তিক অবস্থান যথেষ্টই চোখে পড়ে।রামভদ্রপুর ইউনিয়নে ১ নং ওয়ার্ড কার্তিকপুর পাল পাড়া গ্রামে প্রাচীন কাল থেকেই মৃৎশিল্প গড়ে ওঠেছে।
তাদের শিল্প দেশী বিদেশী রপ্তানী করে প্রচুর পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS